তিন বিধায়ক সহ জেলা পরিষদের সহসভাধিপতির দেহরক্ষীর করোনা পজিটিভ : দুশ্চিন্তা পূর্ব বর্ধমানে

23rd July 2020 9:29 am বর্ধমান
তিন বিধায়ক সহ জেলা পরিষদের সহসভাধিপতির দেহরক্ষীর করোনা পজিটিভ : দুশ্চিন্তা পূর্ব বর্ধমানে


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) : লকডাউনের মধ‍্যেই একের পর এক আক্রান্তের খবরে দুশ্চিন্তা বাড়ছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের । স্বাস্থ‍্য বিধি সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক ও সচেতন করার কাজ যেমন চলছে , তেমনি জনপ্রতিনিধি দের দেহরক্ষীদের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসে পৌঁছাতেই আরো সতর্কতা জারি করতে হচ্ছে সব জায়গায় । সরকারের ঘোষনা অনুসারে চলতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার ও শনিবার রাজ‍্য জুড়ে সম্পূর্ণ লকডাউন । এছাড়াও বর্ধমান পৌরসভার ৩৫ টি ওয়ার্ডে বুধবার থেকে শুরু হয়েছে সাতদিনের সম্পূর্ণ লকডাউন । এই অবস্থার মধ‍্যেই জেলার তিন বিধায়কের দেহরক্ষীদের করোনা পজিটিভ হবার পরেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে দলের কর্মী সহ এলাকায় । রায়না বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক নেপাল ঘোড়ুই , ভাতার বিধানসভার বিধায়ক সুভাষ মন্ডল , মেমারী বিধানসভার বিধায়িকা নারগিস বেগম এর দেহরক্ষীদের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরেই তিন বিধায়ক হোম কোয়ারেন্টিন এ চলে গেছেন । এর পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দেবু টুডু 'র দেহরক্ষী করোনা পজিটিভ হবার পরেই তড়িঘড়ি আগামী ৭ দিনের জন‍্য বন্ধ করে দেওয়া হল জেলা পরিষদ , এমনটাই সভাধিপতি শম্পা ধাড়া জানিয়েছেন । তিন বিধায়ক সহ জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি'র লালা রসের নমুনা সংগ্ৰহ করা হবে বলে জানা গেছে । এই সময়ের মধ‍্যে বহু কর্মসূচীতেই যোগ দিয়েছেন বিধায়ক এবং সহ সভাধিপতি । তাদের রিপোর্ট কি আসে তার দিকেই তাকিয়ে সকলে । কত মানুষের সংস্পর্শে তারা এসেছেন তা নিয়েই চিন্তা বাড়ছে । পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমানে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৫ জন । গতকাল দুজন মারা গেছেন তারাও বর্ধমান শহরের ই বাসিন্দা । একজন রাণীগঞ্জ বাজার , অপরজন লস্করদিঘী এলাকার । স্বাভাবিকভাবেই শহর জুড়ে কঠোর সতর্কতা জারি হয়েছে । পুলিশ আধিকারিক রা রাস্তায় নেমে সকলকে সচেতন করছেন স্বাস্থ‍্য বিধি মেনে চলার বিষয়ে । যেভাবে করোনা প্রভাব বিস্তার করছে পূর্ব বর্ধমান জেলায় তা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সকলের । সেফ হোম , আলাদা কোভিড হাসপাতাল তৈরীর বিষয়েও পদক্ষেপ নিচ্ছে জেলা প্রশাসন । 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।